ঘসেটি বেগম কে ছিলেন? ঘসেটি বেগমের জীবনী।
ঘসেটি বেগম: বাংলার ইতিহাসে এক অসাধারণ নারী
প্রাথমিক জীবন:
ঘসেটি বেগম এর ছবি |
সিরাজউদ্দৌলার সাথে সম্পর্ক:
ষড়যন্ত্র ও বিদ্রোহ:
পলাশীর যুদ্ধ:
ঘসেটি বেগম |
মৃত্যু:
ঘসেটি বেগম ১৭৬০ সালে মারা যান। তিনি একজন জটিল এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর মীর জাফর, ঘসেটি বেগমেকে ঢাকার জিনজিরা প্রাসেদে অন্তরীণ করেন। কিন্তু ঘসেটিকে বিপদজনক শত্রু মনে করে, মীর জাফর এর পুত্র মীরন তাকে ১৭৬০ সালে মুর্শিদাবাদ ফেরত নিয়ে আসার আদেশ দেন। কথিত আছে, মুর্শিদাবাদ ফেরার পথে বুড়িগঙ্গা নদীতে তার সলিল সমাধি ঘটে।
ঘসেটি বেগমের ঐতিহাসিক মূল্যায়ন
ঘসেটি বেগমের ঐতিহাসিক মূল্যায়ন বেশ বিতর্কিত। কিছু ইতিহাসবিদ তাকে একজন ক্ষমতাহীনুর নারী হিসেবে দেখেন, যিনি স্বার্থের খাতিরে সাজিশ ও ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার ষড়যন্ত্রের ফলেই পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে এবং বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের সূচনা হয়।
অন্যদিকে, অন্যান্য ইতিহাসবিদ মনে করেন যে, ঘসেটি বেগম কেবল ক্ষমতার খেলায় অংশগ্রহণকারী নারীই না, বরং তিনি একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি সেই সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করেছিলেন।
ঘসেটি বেগম সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর:
ঘসেটি বেগমের পালক পুত্রের নাম কি?
ঘসেটি বেগম শওকত জংকে পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
ঘসেটি বেগম সিরাজের কে ছিলেন?
ঘসেটি বেগম ছিলেন সিরাজউদ্দৌলার খালা ছিলেন।
ঘসেটি বেগমের স্বামীর নাম কি?
ঢাকার নায়েব নাজিম নওয়াজিস মুহম্মদ শাহমাত জংয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
ঘসেটি বেগম কোন প্রাসাদে থাকতেন?
ঘসেটি বেগম ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত আটচালা প্রাসাদে বসবাস করতেন।
Comments
Post a Comment